রউফুল আলম : আমার ছেলেকে আমি শিখাইনি বি-পজেটিভ। চার বছরের ছেলে পজেটিভিটি বুঝবে না। আমি বরং তাকে শিখিয়েছি, আমরা ‘পারবো না’ বলবো না। আমরা বলবো ডব পধহ ফড় ঃযরং! খবঃ’ং ঃৎু ঃড়মবঃযবৎ, মাশাল্লাহ, আমার ছেলে খুব দ্রুত এটা শিখে গেছে। সে এখন আমাকে মনে করিয়ে দেয়। বাবা, আমরা কিন্তু ‘পারবো না’ বলবো না। আমার ছেলে খুব ছোটখাটো একটা বিষয় করতে পারলেই আমি তাকে গ্রেইট জব, গুড জব বলে উৎসাহ দিই। পরে দেখি, সে ঠিকই আরও উৎসাহ নিয়ে কাজটা করতে চায়। উৎসাহ, শিশুদের মনে পজেটিভ প্রভাব ফেলে। এপ্রিশিয়েশন, শিশুদেরকে উৎসাহী করে। শিশুদের আমরা আন্ডারএস্টিমেইট করি। অথচ আমরা বুঝতে চাই না, শিশুদের ভাবনার জগতে অনেক দারুণ দারুণ সব কৌতুহল জাগে। প্রশ্ন জাগে। বরং আমাদের কাছে ওদের সব প্রশ্নের উত্তর থাকে না। আমরা তখন ওদের থামিয়ে দেই। শিশুদের কখনো আন্ডারএস্টিমেইট করবেন না। যেসব বাচ্চারা ছোটবেলায় অনেক উৎসাহ পায়, তারা অনেক দ্রুত শিখতে পারে। এটা গবেষণার ফলাফল। 

আমার ছেলে আমাকে বলতেছে সে একটা এস্ট্রোনট রবোট বানাবে। এই ধারণা কিন্তু তাকে কেউ দেয়নি। কিন্তু সে এস্ট্রোনট এবং রবোট দেখেছে। এবং সে তার মতো করে বুঝতে পেরেছে, এস্ট্রোনট রবোট কি করবে। এবং এই ধরণের আইডিয়া নিয়ে কিন্তু দুনিয়াতে কাজ হচ্ছে যেগুলোকে আমরা বলছি রবোনট (জড়নড়হধঁঃ)। তাকে যদি কখনো এস্ট্রোনট বা রবোট না দেখাতাম, বা এগুলো নিয়ে গল্প না করতাম, তাহলে সে কিন্তু ভাবারও সুযোগ পেতো না। কানাডার একজন লেখক ঈযৎরং ঋবৎৎরব, যিনি শিশুদের জন্য বিজ্ঞানের বই লিখেন। তার একটা কথা আমার ভালো লাগে ওঞ’ঝ ঘঊঠঊজ ঞঙঙ ঊঅজখণ ঞঙ ওঘঞজঙউটঈঊ ঈঐওখউজঊঘ ঞঙ ইওএ ওউঊঅঝ! শিশুদের সঙ্গে বড়ো বড়ো আইডিয়া নিয়ে গল্প করুন। জটিল বিষয় শেয়ার করুন। দেখবেন, তারা ন্যাচারেলি কতো টেলেন্টেড। আমাদেরকে ছোটবেলা থেকে শুনতে হয় তুই এই বয়সে কি বুঝবি? 

মানুষের বুঝার জন্য বয়স গুরুত্বপূর্ণ না। মানুষের বুঝার জন্য প্রয়োজন মেধার। যেটা শিশুদের মোটেও কম থাকে না। আপনি কি শিশুদের উৎসাহ দেন? তাদেরকে কি এপ্রিশিয়েট করেন? তাদের জন্য কি এৎবধঃ ঔড়ন! এড়ড়ফ ঔড়ন! ডবষষ উড়হব! ঝসধৎঃ নড়ু/মরৎষ! এইসব শব্দগুলো ব্যবহার করেন? করে দেখুন। নিজেই পরিবর্তনটা টের পাবেন। লেখক: গবেষক। ফেসবুক থেকে